BJP Nabanna Abhiyan: 'একটা আস্ত আলুভাতে', শুভেন্দুকে কটাক্ষ কুণাল ঘোষের

পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপি সমর্থকদের। পাশাপাশি বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচি ঘিরে হাওড়া ময়দান এলাকাতেও রণক্ষেত্র পরিস্থিতি।

BJP Nabanna Abhiyan: 'একটা আস্ত আলুভাতে', শুভেন্দুকে কটাক্ষ কুণাল ঘোষের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচি ঘিরে গঙ্গার এপার-ওপার দুই পার কার্যত তোলপাড়। গেরুয়া শিবিরের নবান্ন অভিযান ঘিরে হাওড়া ময়দান এলাকায় রণক্ষেত্র পরিস্থিতি। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জল কামান ব্যাবহার করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁরা হয়। 

এদিন সাঁতরগাছি রণক্ষেত্র। জল কামান। টিয়ার গ্যাস। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপি সমর্থকদের। পাশাপাশি বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচি ঘিরে হাওড়া ময়দান এলাকাতেও রণক্ষেত্র পরিস্থিতি। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ব্যাবহার করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। হাওড়া ময়দানে বসে পড়েন অগ্নিমিত্রা পল, সুকান্ত মজুমদাররা।

এদিকে বিজেপির এই নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেন , ''এত বড় বিরোধী আন্দোলন। কিন্তু বিরোধী নেতার কোনও জোর নেই। পুলিশকে টেনে তুলতে হয়নি ভ্যানে। শুভেন্দু নিজে নিজেই হেঁটে উঠে গেলেন। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা। আরে ভাই তুমি নাকি যুদ্ধ ঘোষণা করছ। পুলিশ ঘিরেছে। বাধা দেবে না? বসবে না? দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন বাধা দিলে রাস্তায় বসতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী পুলিশের গাড়িতে গিয়ে বসলেন। একটা আস্ত আলুভাতে।''

<blockquote class="twitter-tweet"><p lang="en" dir="ltr">Joker of the year...<br>Adhikari...<br><br>Don&#39;t touch my body.... <a href="https://t.co/GTLwZtdTdq">pic.twitter.com/GTLwZtdTdq</a></p>&mdash; Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) <a href="https://twitter.com/KunalGhoshAgain/status/1569647876623458307?ref_src=twsrc%5Etfw">September 13, 2022</a></blockquote> <script async src="https://platform.twitter.com/widgets.js" charset="utf-8"></script>

 তিনি এদিন বিরোধী দলনেতার রাজনৈতিক সত্তাকে প্রশ্ন করেও বলেন, ''ছোটোবেলায় বাবার দৌলতে, বড় বেলায় দিদির দয়ায় ঠান্ডা ঘরে বসে নেতা হয়েছেন তিনি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন এবং পুলিশের সঙ্গে আন্দোলন, এইসব ওঁর ডিকশনারিতে নেই। একটা আস্ত বাতেলাবাজ। নিজে দুনিয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। বিজেপিতে গিয়েছেন শুধুমাত্র গ্রেফতারি এড়াতে।'' 

এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে আরও বলেন, ''যতগুলি ক্যামেরা সেখানে ছিল তত মিনিট পুলিশের সামনে দাঁড়ানোর নার্ভ কাজ করল না একজন বিরোধী দলনেতার। আমরা ভেবেছিলাম আন্দোলনে নেমে প্রতিরোধের মুখে পড়লে রাস্তায় বসবেন। যেরকম হয়ে থাকে আন্দোলনে। পুলিশ তাঁদের তুলে নিয়ে যাবে। কিন্তু তিনি নিজেই হেঁটে হেঁটে প্রিজন ভ্যানে উঠে গেলেন।''

 বিরোধী দলনেতার আটককে তুলে ধরে কুণাল ঘোষ এদিন বিরোধী দলনেতা হিসেবে মমতার আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ''বিরোধী নেতারা ছবি দেখবেন যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন। রাইটার্স থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চুলির মুঠি ধরে বের করা হয়েছিল। সিঙ্গুরের বিডিও অফিস থেকে মারতে মারতে তাঁকে বের করেছিল পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে লড়াই করেছেন মমতা।'' তিনি বলেন, ''কিন্তু এই বিরোধী দলনেতা তিনজন মহিলা পুলিশ কর্মীকে দেখেই ফুঁস। এ তো লজ্জাবতী লতা। স্পর্শ করতেই নুইয়ে গেল। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অপদার্থ। এর ভরসায় বিজেপি লড়ছেন?''