INDIA Is On Moon: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারত! মিলবে কি হীরে মানিকের সন্ধান

আগেও একাধিক চন্দ্র অভিযানের মাধ্যমে চাঁদে জলের উপস্থিতি নজরে আসে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অতি প্রাচীন এই জল-বরফ থেকেই চাঁদের সৃষ্টির বিষয়ে আরও একাধিক তথ্য পাওয়া যাবে। বিস্তারিত পড়ুন...

INDIA Is On Moon:  চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারত! মিলবে কি হীরে মানিকের সন্ধান
ছবি সৌজন্যে- ইসরো টুইটার

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: চাঁদের বুকে ভারত। বিক্রমের ল্যান্ডার থেকে নেমে চাঁদের কুমেরুতে হাঁটতে শুরু করেছে ভারত। আর সবার নজরে এখন চাঁদের দক্ষিণ মেরু। কয়েকদিন আগেই ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া। লুনার ২৫ এর ব্যর্থতার রেশ কাটিয়ে বুধবার বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছেছে ভারতের চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। ভারতের এই অভিযানের দিকে তাকিয়ে ছিল বিশ্বের বাকি দেশ ও মহাকাশ সংস্থাগুলিও। কিন্তু চাঁদের দক্ষিণ মেরু ঘিরে এত উৎসাহ কেন? এই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই জলের অণু দিয়ে তৈরি বরফের খোঁজ মিলেছে। শুধু সেটাই কারণ নয়। চাঁদের কলোনি তৈরি, চাঁদের খনিজ আহরণ এবং মঙ্গল অভিযানের বেসক্যাম্প তৈরির ভাবনাও রয়েছে চাঁদ ঘিরে। 

সূত্রের খবর, চন্দ্রযান ১ তো বটেই, তার আগেও একাধিক চন্দ্র অভিযানের মাধ্যমে চাঁদে জলের উপস্থিতি নজরে আসে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অতি প্রাচীন এই জল-বরফ থেকেই চাঁদের সৃষ্টির বিষয়ে আরও একাধিক তথ্য পাওয়া যাবে। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের উৎস থাকে, তাহলে সেখান থেকে পানীয় জল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এছাড়া, ওই জল ভেঙে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন উৎপন্ন করা গেলে জ্বালানি হিসেবে এবং শ্বাসপ্রশ্বাস চালানোর জন্যও ব্যবহার করা যাবে। তবে আরও বেশি নজর রয়েছে চাঁদের বুকে লুকানো অসীম মূল্যবান খনিজ সামগ্রীর জন্য।

 

১৯৬৭ সালে United Nations-এর বহির্বিশ্ব চুক্তি বা Outer Space Treaty - অনুযায়ী, কোনও দেশ চাঁদকে নিজের সম্পত্তি বলে ঘোষণা করতে পারবে না। কিন্তু চাঁদের বুকে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড চালানো নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ নেই। ১৯৬৯ সালে নীল আর্মস্ট্রংরা চাঁদের উত্তর মেরুর একটি অংশে নেমেছিলেন। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত চাঁদে যে কয়টি সফল অভিযান হয়েছে, সবই উত্তর গোলার্ধকে কেন্দ্র করে। এবার দক্ষিণের দুয়ার খুলে ফেললেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। মহাকাশ বিজ্ঞান ও গবেষণায় নতুন ইতিহাস রচনা করল ভারত। ইসরোর মুকুটে উঠল নয়া পালক।