চাঁদের আরও কাছে চন্দ্রযান-৩, ভিডিয়ো প্রকাশ ইসরোর

৫ অগাস্ট প্রবেশ করে চাঁদের কক্ষপথে। তারপর ধাপে ধাপে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করতে করতে চন্দ্র পৃষ্ঠের আরও কাছে এগিয়ে যাচ্ছে ইসরোর এই মহাকাশযান।

চাঁদের আরও কাছে চন্দ্রযান-৩, ভিডিয়ো প্রকাশ ইসরোর
ছবি সৌজন্যে- ইসরো টুইটার

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: স্বপ্নের আরও কাছাকাছি।  আরও এক ধাপ সাফল্যের দিকে এগিয়ে গেল চন্দ্রযান-৩। শুক্রবারই চাঁদকে প্রদক্ষিণ করা ল্যান্ডার 'বিক্রম'-এর গতি কমানো হয়েছে। সফট ল্যান্ডিংয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।  ইসরো (ISRO) সূত্রে খবর, মহাকাশে ভালো আছে 'বিক্রম'। স্বাভাবিক ছন্দে নিজের কাজ করে চলেছে। এছাড়াও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, শনিবার রাত ২টোর সময় ফের একবার গতি কমানো হবে ল্যান্ডার 'বিক্রম'-এর। 

 গত ১ অগাস্ট চাঁদের বলয়ে প্রবেশ করে চন্দ্রযান-৩। ৫ অগাস্ট প্রবেশ করে চাঁদের কক্ষপথে। তারপর ধাপে ধাপে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করতে করতে চন্দ্র পৃষ্ঠের আরও কাছে এগিয়ে যাচ্ছে ইসরোর এই মহাকাশযান। প্রোপালশন মডিউল থেকে আলাদা হয়েছে ল্যান্ডার 'বিক্রম'। বর্তমানে এটি ১১৩ কিলোমিটার X ১৫৭ কিলোমিটার উচ্চতায় থেকে চাঁদকে পাক খেয়ে চলেছে। প্রোপালশন মডিউল থেকে নিজেকে আলাদা করে, চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডারের যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন চন্দ্রযান-২-এর অরবিটারে সংযুক্ত করা হবে যা এখন চার বছর ধরে চাঁদের চারপাশে ঘুরছে। যদিও ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডারটি চন্দ্রের পৃষ্ঠে সফট ল্যান্ডিংয়ের ব্যর্থ হয়েছিল তবে এর অরবিটারটি এখনও চন্দ্র কক্ষপথে রয়েছে। সহায়তা করছে চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য নিশ্চিত করতে।

ইতিমধ্যেই এই অরবিটারটি চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) জন্য নিরাপদ অবতরণ স্থান চিহ্নিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অবতরণের সময় এবং পরে চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডার এবং গ্রাউন্ড স্টেশনের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে সাহায্য করবে। আর্থ স্টেশনগুলির সাথে চন্দ্রযান-২ মিশনের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক এমনভাবে কনফিগার করা হয়েছে যেখানে ল্যান্ডারটি চন্দ্রযান-২ অরবিটারে তথ্য পাঠাবে। তারপর সেই তথ্য ইসরো এবং সংস্থাগুলির গ্রাউন্ড স্টেশনগুলিতে পৌঁছে যাবে। চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডারেরও পৃথিবীতে সরাসরি যোগাযোগ করার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা রয়েছে।

ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ ৯ অগাস্ট একটি সাক্ষাৎকারে জানান, রেডিও সংকেতগুলি অরবিটার থেকে পৃথিবীতে এসে পৌঁছবে। এই রেডিও সিগন্যালগুলি চন্দ্রযান-৩ থেকে নয় বরং চন্দ্রযান-২-অরবিটার থেকে আসবে। চন্দ্রযান-২-এর অরবিটারটি খুব ভালো ভাবে কাজ করছে। যোগাযোগ রাখবে চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডারের সঙ্গে। এই সংকেত এসে পৌঁছবে গ্রাউন্ড স্টেশনে। তিনি আরও জানান, যদি কোনও কারণে, চন্দ্রযান-৩-এর অরবিটারটি সঠিকভাবে কাজ না করে, তাহলে সেক্ষেত্রে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডারটি পৃথিবীর সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করবে। নিরাপদ ও সফট ল্যান্ডের পর ছেড়ে দেওয়া হবে রোভারটিকে।

এই সময় শুধুমাত্র ল্যান্ডারটির সঙ্গেই যোগাযোগ রাখা হবে। ল্যান্ডারটি অরবিটারের সঙ্গে ও আর্থ স্টেশনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে। চন্দ্রযান-২-এর অবতরণের সময় অন্যান্য মহাকাশ সংস্থার চন্দ্র মিশনের থেকে প্রাপ্ত চিত্রগুলির দ্বারা একটি অবতরণ স্থান নির্ধারিত হয়েছিল। এবার চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডারের জন্য ৪ কিলোমিটার X ২.৪ কিলোমিটার অবতরণ স্থান চিহ্নিত করবে অরবিটারটি। চন্দ্রযান-২-এর অরবিটারে উচ্চ রেজোলিউশন ক্যামেরাও রয়েছে।