পড়শি দেশে ডেঙ্গি মহামারী, আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বাংলাতেও

Dhaka-র বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৮৯২ জন রোগি। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ৮৬৫ জন। ভর্তি হওয়া রোগিদের বেশির ভাগের শরীরে রয়েছে ডেঙ্গির উপসর্গ।

পড়শি দেশে ডেঙ্গি মহামারী, আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বাংলাতেও
বাংলাদেশের একটি হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্তদের ভিড়। ছবি- সংগৃহীত

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বর্ষার মরশুম শুরু হতেই বাড়ছে Dengue-র প্রকোপ। বাংলার পাশাপাশি ডেঙ্গি আতঙ্কে কাঁপছে পড়শি দেশ Bangladesh। দিন যত গড়াচ্ছে ততই বাংলাদেশে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ডেঙ্গি পরিস্থিতি। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর পরিসংখ্যানে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে চলতি বছর। এখনও সতর্ক না হলে বাংলাদেশের ডেঙ্গি পরিস্থিতি আরও মারাত্মক রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা সেখানকার চিকিৎসকদের। সূত্রের খবর, বাংলাদেশে জ্বর ও ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৭৫৭ জন।  

জানা গিয়েছে, এর মধ্যে রাজধানী Dhaka-র বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৮৯২ জন রোগি। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ৮৬৫ জন। ভর্তি হওয়া রোগিদের বেশিরভাগের শরীরে রয়েছে ডেঙ্গির উপসর্গ। শুধু তাই নয়, ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। যারফলে চলতি বছরে বাংলাদেশে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯৩। এর আগে ২০২২ সালে Dengue-তে ২৮১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। চলতি বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ৪৭৩। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬১ হাজার। কোভিড মহামারীর আগে গত ২০১৯ সালে রেকর্ড সংখ্যক রোগি ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই সময় সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪।

বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলাতেই ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগির হদিশ মিলেছে। ডেঙ্গি শুধু ঢাকা নয়, ঢাকা শহরের বাইরে উপ জেলার গ্রামগুলিতেও ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে ডেঙ্গি আক্রান্তে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের ৮ জেলার মোট ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৮৩ হাজার ৪৪১ মানুষ। ঢাকার হাসপাতালগুলিতে ফাঁকা নেই বেড। চিকিৎসা করাতে আসা রোগিদের ভরসা তাই হাসপাতালের মেঝেই। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব বলছে, বাংলাদেশে ২০০০ সালে Dengue আক্রান্ত হয়ে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ২০০১ সালে ৪৪ জন, ২০০২-তে ৫৮ জন, ২০০৩ সালে ১০ জন। ২০০৪ সালে ১৩। ২০০৫ সালে ৪ জন এবং ২০০৬ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়। তবে ২০০৭ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এরপর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালে ৬ জন, ২০১২ সালে একজন। ২০১৩ সালে ২ জন মারা গিয়েছেন। ২০১৫ সাল থেকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ক্রমেই বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যা। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান ১৪ জন। ২০১৭ সালে ৮ জন। ২০১৮'তে ২৬ জন। ২০১৯-এ ১৭৯ জন। ২০২০ সালে ৭ জন। ২০২১-এ ১০৫ জন মারা গিয়েছে। সর্বশেষ বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ২৮১ জনের মারা যান ডেঙ্গিতে।