G-20 Summit: বিশ্বকে শান্তির বার্তা নমোর

সোমবার জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বালিতে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি তাঁকে সম্মেলন স্থলে আমন্ত্রণ জানান।

G-20 Summit: বিশ্বকে শান্তির বার্তা নমোর

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: সোমবার জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বালিতে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি তাঁকে সম্মেলন স্থলে আমন্ত্রণ জানান। এর আগে গতকালই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেখা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে।

সোমবার জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বালিতে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি তাঁকে সম্মেলন স্থলে আমন্ত্রণ জানান। এর আগে গতকালই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেখা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে। জি ২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নানা বিষয় নিয়ে কথা বললেন। বিশ্ব জলবায়ুর পরিস্থিতি নিয়ে তো কথা বলেনই প্রধানমন্ত্রী, পাশাপাশি তিনি কোভিড অতিমারি, শক্তির ব্যবহার এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেন। যেহেতু ভারতের অর্থনীতি এই মুহূর্তে বিশ্বে অত্যন্ত দ্রুত উন্নতিশীল এক অর্থনীতি তাই তার সঙ্গে বাকি বিশ্বের সংযোগরক্ষা অতি জরুরি। ভারতীয় শক্তির উৎস নিয়েও মোদী চিন্তিত, তিনি বিশ্বের সঙ্গে এর আদান-প্রদানের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা অতিমারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব জুড়ে সরবরাহ ব্যবস্থা গুরুতর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গরিব মানুষের সঙ্কট বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও অবস্থাতেই সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো কাম্য নয়।’’ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে আন্তর্জাতিক সক্রিয়তা প্রয়োজন বলে জানান মোদী। বলেন, ‘‘ভারত বরবরাই বলে এসেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন আলোচনার টেবিলে বসে যুদ্ধে ইতি টানবে, সেটাই কাম্য।’’ 

 জি-২০ মঞ্চ থেকে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কারের প্রসঙ্গও তুলেছেন মোদী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতি এখন নেই জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের পুনর্গঠনের দাবি তোলেন তিনি। জানান, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ নিয়ে ভারতের দাবি বিবেচনার সময় এসেছে বলে তিনি মনে করেন। এদিন বালিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উদ্দেশে মোদী বলেন, ‘আমি এখন বালিতে আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি এবং আমরা ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যের গান গাইছি। এই একই সমে এখান থেকে ১৫০০ কিমি দূরে ভারতের কটকে চলছে ‘বালি যাত্রা মহোৎসব’। এই মহোৎসব হাজার বছরের পুরনো। ভারত-ইন্দোনেশিয়া বাণিজ্য সম্পর্ক উদযাপন করে এই অনুষ্ঠান।’

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সূত্রে গাঁথা ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার সম্পর্ক।’ প্রসঙ্গত, গতকাল রাতেই বালিতে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে ইন্দোনেশিয়ার প্রথা মেনে তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনাও জানানো হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে এই সম্মেলনের জন্য স্বাগত জানান ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো। এই সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে আগামী এক বছরের জন্য জি২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে ভারত। এদিকে এদিন সম্মেলনে রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে ফের শান্তি স্থাপনের বার্তা দেন মোদী। তিনি পুনরায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে কূটনীতি ও আলোচনার পথ বেছে নেওয়ার কথা বলেন।