জল নেওয়া নিয়ে বিবাদে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাথি, কাঠগড়ায় TMC নেতা

শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে এই অত্যাচারের অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এদিকে এই ঘটনা সমর্থন করা যায় না বলে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। 

জল নেওয়া নিয়ে বিবাদে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাথি, কাঠগড়ায় TMC নেতা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: কল নিয়ে বিবাদের জের। বিজেপি বুথ সভাপতির অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাথি, বৃদ্ধ বাবাকে মেরে মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় দু'জনকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী রাখাল দাস তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। অন্যদিকে তাঁরই প্রতিবেশী জগন্নাথ দাস বিজেপি করেন। শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে এই অত্যাচারের অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এদিকে এই ঘটনা সমর্থন করা যায় না বলে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। 
বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ১৬ নং ওয়ার্ডের বিজেপি বুথ সভাপতি জগন্নাথ দাসের বাড়ির সামনে একটি পুরসভার কল আছে। সেই কল নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ দীর্ঘ দিনের।

শনিবার বিকেলে জগন্নাথ দাসের স্ত্রীর গায়ে জল ছিটানো নিয়ে গন্ডোগোলের সূত্রপাত। এই বিষয়ে জগন্নাথ দাস বলেন, ''গন্ডগোলের সময় তাঁকে মারতে আসে রাখাল ও তার পরিবার। তাঁর বৃদ্ধ বাবা ও মেয়ে ঝগড়া থামাতে গেলে তাঁদের উপর চড়াও হয় অভিযুক্তরা। তাঁর বাবার মাথায় লাঠি দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। মেয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তার পেটেও লাথি মারে।'' 

তিনি আরও বলেন, ''রাখাল তৃণমূল করে। ওই ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলর মিনতি ধর ও তৃনমূল নেতা বিশ্বজিৎ দাসের ঘনিষ্ঠ সে।'' জগন্নাথ দাসের মেয়ে বলেন, ''বাবা বিজেপি করে বলে ঝামেলা। দাদুকে মেরেছে আমাকেও পেটে লাথি মেরেছে।'' বাঁশ বেড়িয়া মন্ডল বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ''কল নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ অনেক দিনের। আজকেও ঝামেলার সময় তৃণমূল কর্মী এসে বুথ সভাপতির উপর চড়াও হয়। মারোধর করে। আসলে তৃণমূলে এই ব্যাপারটা আছে যে যত বেশি বদমাইশি করবে মারধোর করে সে তত উঁচু পোস্টে যাবে। সেটা দেখাতে গিয়ে এগুলো করছে।''

যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর মিনতি ধর বলেন, ''কল নিয়ে বিবাদ থেকে এই ঘটনা হয়েছে। যা হয়েছে তা সমর্থন যোগ্য নয়। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।'' এদিকে এই ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী বলেন, ''পানীয় জল নিয়ে এই ঘটনা কাম্য নয়। দূর্ভাগ্য জনক ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রাজনীতি নেই। ঘটনার নিন্দা করছি। পুলিশ ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে।''