ট্রেকিং-এর নেশাই সর্বনাশা, পাহাড়ে গিয়ে নিখোঁজ বাংলার ৪ যুবক

দীর্ঘক্ষণ  চিন্ময় সহ চারজন না ফেরায় শেরপা বেস ক্যাম্পে ফিরে আসে। ফিরে এসে বাকি দুজনকে জানায় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।

ট্রেকিং-এর নেশাই সর্বনাশা, পাহাড়ে গিয়ে নিখোঁজ বাংলার ৪ যুবক

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: পাহাড়ি চড়াই উৎরাই পথে ফের কাল হল ট্রেকিং-এর নেশা। পাহাড়ে ট্রেকিং করতে গিয়ে নিখোঁজ বাংলার ৪ যুবক। যার মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের হৃদয়পুর এলাকার চিন্ময় মন্ডল(৪৩)। দুশ্চিন্তায় প্রহর গুণছেন পরিবারের লোকজন।

গত কয়েকদিনে কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি চিন্ময় সহ ৪ জনের। হিমাচল প্রদেশে ট্রেকিং করতে গিয়ে নিখোঁজ বারাসত হৃদয়পুরের বাসিন্দা চিন্ময় মন্ডল। জানা গিয়েছে, গত ১৮ অগাস্ট ছয় জনের একটি দল কলকাতা থেকে রওনা দেয় হিমাচল প্রদেশের কুলু জেলার মাউন্ট আলি রত্নী তিববায় (৫,৪৫৮ মিটার)। ফেরার কথা ছিল চলতি মাসের ১৬ তারিখে। চিন্ময়ের ভাই হিরন্ময় মন্ডল জানান, গত তিনদিন আগে ছয় জনের ওই দল বেস ক্যাম্পে পৌঁছয়। এরপর সেখান থেকে চার জন স্যামেট করতে উপরে ওঠে (লাকপা শেরপা) শেরপাকে সঙ্গে নিয়ে। অসুস্থতার কারণে দুজন আর যায়নি বলেও জানান হিরন্ময়। তাঁরা বেস ক্যাম্পেই থেকে যায়।

এরপরে দীর্ঘক্ষণ  চিন্ময় সহ চারজন না ফেরায় শেরপা বেস ক্যাম্পে ফিরে আসে। ফিরে এসে বাকি দুজনকে জানায় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। শেরপার কথা মত বেস ক্যাম্পে থাকা অসুস্থ দুজন দ্রুত নেমে আসে নিচে। যে রাস্তা উঠতে তিনদিন লাগে সেই রাস্তা একদিনে চলে আসে বাকি দুজন। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় প্রশাসনকে। স্থানীয় প্রশাসন ২২ জনের একটি রেসকিউ টিম তৈরি করে পাঠায় ৪জনকে উদ্ধার করতে। তবে সেই থেকে আজ পর্যন্ত চিন্ময় সহ ৪ জনের কোনও খোঁজ মেলেনি। 

চিন্ময়ের ভাই আরও জানান, ইতিমধ্যেই তাদের পরিবারের সদস্যরা এই বিষয়ে রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলতে কলকাতায় যান। রাজ্য সরকার যাতে তার ভাই সহ বাকিদের খুঁজে পেতে সাহায্য করে সে বিষয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস চিন্ময়ের দিদির সামনেই হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের সাথে কথা বলেন। দ্রুত কিভাবে উদ্ধার করা যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

হাজার দুশ্চিন্তার মধ্যেও পরিবারের দাবি, চিন্ময় সহ ৪ জন আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে কোথাও আটকে আছে। এই নিয়ে চিন্ময়ের ৩ বার ট্রেকিং এ গিয়েছে। এর আগেও একবার মাউন্ট আলি রত্নী তিববায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় মাঝপথ থেকে ফিরে আসতে হয়েছে। এবার যাওয়ার জন্য গোটা পরিকল্পনা গত দু'মাস ধরে নেওয়া হয়েছে। আপাতত পরিবারের কাছে ভরসা রাজ্যের প্রাশাসন ও হিমাচল প্রদেশের প্রশাসনের উপর। রবিবার একটা কোনও খবর আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে কারন। যে রেসকিউ টিম কুলু থেকে রওনা দিয়েছে সেই টিম রবিবার পৌছাবে বেস ক্যাম্পে, তারপরেই কোনও একটা খবর আসবে বলে আশা করছে পরিবার।