৫০ কোটি মানুষ দেখবেন অযোধ্যার রামলীলা

অযোধ্যা কি রামলীলা হল রাম ভক্তদের জন্যে তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় রামলীলা। যেটি ইতিমধ্যেই বিশ্বের ২৫ কোটির বেশি মানুষ দেখেছেন গত বছর পর্যন্ত।

৫০ কোটি মানুষ দেখবেন অযোধ্যার রামলীলা
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ৫০ কোটি মানুষ দেখবেন অযোধ্যার রামলীলা রামের জন্মভূমি। অযোধ্যায় প্রতি বছর দশেরার সময় 'অযোধ্যা কি রামলীলা' অনুষ্ঠীত হয়। অযোধ্যা কি রামলীলা হল রাম ভক্তদের জন্যে তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় রামলীলা। যেটি ইতিমধ্যেই বিশ্বের ২৫ কোটির বেশি মানুষ দেখেছেন গত বছর পর্যন্ত। এ বছর আরো ৫০ কোটি মানুষকে এই অযোধ্যার রামলীলা দেখানোর ব্যাবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অযোধ্যা রামলীলার সভাপতি সুভাষ মালিক (ববি) এবং সাধারণ সম্পাদক শুভম মালিক।

কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা জানান, অন্য বছরের মতো এ বছরও দশেরা উপলক্ষে ১৪ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত অযোধ্যার নয়াঘাটে এই রামলীলা অনুষ্ঠিত হবে। এবার ৫০ কোটি লোক যাতে এই রামলীলা দেখতে পারেন তার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। মঞ্চে যারা উপস্থিত থাকবেন তারাও যেমন দেখতে পারবেন এর পাশাপাশি তাদের ইউটিউব চ্যানেলে ও দুরদর্শনে সরাসরি সম্প্রচার হবে। রামলীলা মঞ্চস্ত করতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ১৬০০ ফুটের বেশি এলইডি টিভি ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্য বছরের মতো এবারেও বলিউডের একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীকে নিয়ে মঞ্চস্থ হবে ‘অযোধ্যা কি রামলীলা’। রামের ভূমিকায় অভিনয় করবেন বিশিষ্ট অভিনেতা রাহুল ভুচার। এছাড়া বেদমতির ভুমিকায়  ভাগ্যশ্রী,সীতার চরিত্রে  লিলি, রাজা জনকের চরিত্রে গজিন্দর চৌহান, অহি রাবনের চরিত্রে  রাজা মুরাদ, বিভীষণের চরিত্রে রাকেশ বেদী, রাবনের চরিত্রে  গিরিজা শঙ্কর, ইন্দ্রর চরিত্রে  অনিল ধাওয়ান, হনুমানের চরিত্রে  বরুণ সাগর, নারদের চরিত্রে সুনীল পাল, কুম্ভকর্নের চরিত্রে শিব,পরশুরামের চরিত্রে বনওয়ারী লাল ঝোল, রাজা দশরথের চরিত্রে মনোজ বক্সী ও ভরতের চরিত্রে বেদ সাগর। 
 
২০২০-তে প্রথমবার এই ‘অযোধ্যা কি রামলীলা’ মঞ্চস্থ হয় বলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিয়ে৷ তার পর থেকেই এই ট্রেডিশান চলে আসছে। রামলীলা কমিটির চেয়ারম্যান সুভাষ মালিক (ববি) এবং সাধারণ সম্পাদক শুভম মালিক বলেন, লোকসভার সাংসদ এবং অযোধ্যার রামলীলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রবেশ সাহেব সিং ভার্মার সহায়তায় অযোধ্যার রামলীলা আয়োজন করা হয়।  প্রতি বছর আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আশীর্বাদ পাই। উত্তরপ্রদেশের  মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জি এবং সাংস্কৃতিক মন্ত্রী জয়বীর সিং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।