Ustad Rashid Khan: থামল সুরেলা সফর, ওস্তাদ রশিদ খানের স্মৃতিচারণায় ডুব অনুরাগীদের

১৯৬৮ সালে উত্তরপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন ওস্তাদ রশিদ খান। ছোট থেকেই বাবার কাছে সুর ও তালের সংগমে নিজের সম্পূর্ণতা দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছেন রাগের জাদুকর।

Ustad Rashid Khan:  থামল সুরেলা সফর, ওস্তাদ রশিদ খানের স্মৃতিচারণায় ডুব অনুরাগীদের
ওস্তাদ রশিদ খান

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ৫৫ বছরেই থেমে গেল সুরেলা সফরের যাত্রা। প্রয়াত ওস্তাদ রশিদ খান। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতের খ্যাতনামা শিল্পীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। রাগ সঙ্গীত জগতের ভবিষষ্যতের অকাল প্রয়াণে সাংস্কৃতিক জগতের পাশাপাশি শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহলও। শিল্পীর প্রয়াণে তাঁর স্মৃতিচারণায় ডুব দিলেন অনুরাগীরা। 

 ১৯৬৮ সালে উত্তরপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন ওস্তাদ রশিদ খান। ছোট থেকেই বাবার কাছে সুর ও তালের সংগমে নিজের সম্পূর্ণতা দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছেন রাগের জাদুকর। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভিত হলেও বলিউড ও টলিউডের একাধিক সিনেমায় গান গেয়েছেন ওস্তাদ রশিদ খান। ‘জব উই মেট’ সিনেমায় ‘আওগে যব তুম সজনা’ গানের মাধ্যমে সারা দেশের মন জয় করে নেন তিনি। শাহরুখ খানের ‘মাই নেম ইজ খান’ সিনেমায় ‘আল্লা হ্যায় রহেম’ গানটি গেয়েছেন শিল্পী। ‘মান্টো’র ‘বোল কে লব আজাদ হ্যায়’ থেকে ‘মিতিন মাসি’র ‘বরসাত সাওয়ান’— প্রত্যেক গানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন শিল্পী। ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন ওস্তাদ রশিদ খান। সেবছরই সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার পান তিনি।  দীর্ঘদিন ধরে প্রস্টেড ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তার মধ্যেই একাধিকবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন। গত ২২ নভেম্বর থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। মঙ্গলবার দুপুর ৩টে ৪৫ মিনিট নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রশিদ খান। 

শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্র সদনে শায়িত রাখা হয়েছে তাঁর দেহ। রবীন্দ্র সদনে উপস্থিত হৈমন্তী শুক্লা, উষা উত্থুপ সহ বিশিষ্ট জনেরা। দুপুর ১টা পর্যন্ত তাঁর দেহ রবীন্দ্র সদনে শায়িত রাখা হয়। যাতে শিল্পীর অনুরাগীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে পারেন। ১টার সময় প্রয়াত শিল্পীকে গান স্যালুট দিয়ে বিদায় জানায় রাজ্য সরকার। এরপর তাঁকে শেষ বারের জন্য নাকতলার বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে সন্ধেবেলা দেশের বাড়ি উত্তর প্রদেশে নিয়ে যাওয়া হবে শিল্পীকে। সেখানেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হবে।

ক্যানসারের সঙ্গে বহুদিন ধরে লড়ছিলেন শিল্পী। তার মধ্যেই স্ট্রোক। অবশেষে থামল লড়াই। যদিও ওস্তাদ রশিদ খানের মতো শিল্পীদের মৃত্যু নেই। কারণ তাঁরা সুরের আকাশের উজ্জ্বল শুকতারা। তাঁদের কণ্ঠ থেকে যাবে আপামর ভক্ত শ্রোতার হৃদয়ে চিরভাস্বর হয়ে।