হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা, TET দুর্নীতিতে বহাল রইল সিঙ্গল বেঞ্চের রায়

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ।

হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা, TET দুর্নীতিতে বহাল রইল সিঙ্গল বেঞ্চের রায়

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা রাজ্যের। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে সিবিআই তদন্তের বন্ধে আর্জি জানিয়ে মামলা করা হয়েছিল। TET দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তই বহাল থাকল।  

 বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, সিঙ্গল বেঞ্চের প্রশ্নের জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই সঙ্গে বহাল থাকল ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ। বহাল থাকল মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর পরিবারের সম্পত্তির হিসাব পেশের নির্দেশও। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকেই মান্যতা ডিভিশন বেঞ্চের। মান্যতা দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

জানা গিয়েছে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের ১ নম্বর করে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয় বলে সিঙ্গল বেঞ্চে ব্যখ্যা দিয়েছিল বোর্ড। কিন্তু ওএমআর শিট দিতে ব্যর্থ হয়েছিল পর্ষদ। সিঙ্গল বেঞ্চে সম্পূর্ণ মেধাতালিকা ও ওএমআর শিট দিতে পারেনি বোর্ড। আর সে কারণে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। আর এক্ষেত্রে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় যে একেবারে যথার্থ, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিনও সওয়াল জবাবের সময়ে ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, ''২৬৯ প্রার্থী যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের চাকরির শুরুটাই যে 'ফ্রড' এটা অস্বীকার করা যায় না। অনেকে পরীক্ষা না দিয়েই চাকরি পেয়েছেন, অনেক মিডলম্যান টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন- এই সমস্ত বিষয়গুলো এদিন ডিভিশন বেঞ্চে আলোচিত হয়। যতক্ষণ না এই সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট আসছে, ততক্ষণ তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল নয় বলেই আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়।''