নদীর গতিপথ রুখে অসাধু ব্যবসা, কাটাখাল নদীতে বাইক চালিয়ে রওনা দেওয়া যাচ্ছে গন্তব্যে

দিনের বেশিরভাগ সময়টুকুই জলশূন্য অবস্থাতে থাকে কাটাখালি নদী। নদীর পাড়ের ম্যানগ্রোভ কাটা, নদীর মাঝ বরাবর মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার জন্য একদিকে জাল টানানো। জানুন বিস্তারিত...

নদীর গতিপথ রুখে অসাধু ব্যবসা, কাটাখাল নদীতে বাইক চালিয়ে রওনা দেওয়া যাচ্ছে গন্তব্যে
গ্রীষ্মের শুরুতেই এভাবেই শুকিয়ে কাঠ হাসনাবাদের কাটাখাল নদী

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ধীরে ধীরে ইতিহাস হতে শুরু করেছে হাসনাবাদ থেকে শুলকুনি হয়ে নাজ্যাটের দিকে আসা কাটাখাল নদী। আজ যেন স্বপ্নের মতো মনে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাদের কথায় এই তো কয়েকবছর আগে সবসময় থৈথৈ করে মনের আনন্দে নেচে বেড়াতো কাটাখালি। কিন্তু আজ! প্রবহমান ইছামতির শাখানদী এখন বিস্তীর্ণ বালুচর। পায়ে হেঁটে কিংবা বাইক চালিয়ে নদী পারাপার এলাকার মানুষদের। এক কথায় নদী আছে কিন্তু জল নেই। 

নদীর উপর দিয়ে বাঁশ দিয়ে কোনওক্রমে তৈরি করা হয়েছে রাস্তা। আর তার উপর দিয়ে পায়ে হেঁটে নদী পারাপারের পাশাপাশি সাইকেল, বাইক চালিয়ে নদী পারাপার হয় এলাকার মানুষজন। উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের ভবানীপুর এলাকার দ্বীপভূমির এই পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে লক্ষাধিক মানুষের বাস। শোনা যায়, ব্রিটিশ আমলে হাসনাবাদ থেকে ভবানীপুর যাওয়ার জন্য ইছামতী এবং ডাঁসা নদীর মাঝখান দিয়ে খাল কাটা হয়েছিল। এখন সেই খালই এখন কাটাখালি নদী। বিদ্যাধরী, ডাঁসা, বেতনি এবং কাটাখালি- এই চার নদী দিয়ে ঘেরা ভবানীপুর দ্বীপ। 

আরও পড়ুন: https://www.tribetv.in/ED-wants-to-interrogate-Shahjahan-Sheikh-of-Sandeshkhali-who-is-in-CBI-custody

ওই দ্বীপের এক প্রান্তে শুলকুনি ফেরিঘাট। সেখান থেকে বেদেমারি, ভোলাখালি এবং পারভবানীপুর ফেরিঘাট থেকে মডেল বাজার, সন্দেশখালির কালীনগরে যাওয়া যায়। দিনের বেশিরভাগ সময়টুকুই জলশূন্য অবস্থাতে থাকে কাটাখালি নদী। নদীর পাড়ের ম্যানগ্রোভ কাটা, নদীর মাঝ বরাবর মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার জন্য একদিকে জাল টানানো। অন্যদিকে, দোড় এবং পাটা লাগানোর ফলে নদীর গতিপথ রুখে দিয়ে অসৎ ব্যবসা চালানোর জন্য কোনওটাতেই পিছিয়ে নেই অসাধু ব্যবসায়ীরা। আর সেই কারণেই নদী হারাচ্ছে তার নাব্যতা। পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্টের পথে। শুকিয়ে যাওয়া নদীতে পায়ে হেঁটে পারাপার করতে হয় হাজার হাজার মানুষকে। এলাকার মানুষদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হল এই নদী। 

আরও পড়ুন: https://www.tribetv.in/IT-Seized-Worth-Rs-of-58-lakhs--from-businessman-house-in-kolkata

 নদীর জল শুকিয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকার মানুষদের। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষেরা চাইছে স্থায়ী সমাধান। কিন্তু স্থায়ী সমাধান হিসেবে ব্রিজ তৈরি করা হোক এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর। এবিষয়ে হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি এসকেন্দার গাজী জানান, মজে যাওয়া নদীর গভীরতা বাড়াতে প্রয়োজনে নদী খনন। নদীর পাড় বরাবর ম্যানগ্রোভ  অরণ্য রোপণ সহ প্রয়োজনীয় সমস্তরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা আশু প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকেই। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে দেওয়া জরুরি। নদীর নাব্যতা ফিরে আসুক। পরিবেশের স্বার্থে নদী ফিরে পাক তার স্বাভাবিক রূপ।