রাসের উদ্বোধনে একই মঞ্চে উদয়ন-অনন্ত, বাংলা ভাগ নিয়ে বড় বার্তা মন্ত্রীর

পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব অনন্ত মহারাজের সামনেই একই মঞ্চে উদয়ন গুহর এই মন্তব্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।

রাসের উদ্বোধনে একই মঞ্চে উদয়ন-অনন্ত, বাংলা ভাগ নিয়ে বড় বার্তা মন্ত্রীর

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বর্তমানে পৃথক রাজ্য ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তার মধ্যে সম্প্রতি গ্রেটার কোচবিহার নেতা অনন্ত মহারাজের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের বৈঠক সেই জল্পনাকে উস্কে দিয়েছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার কোচবিহারের
 রাসমেলার মঞ্চ থেকে বঙ্গবাসীকে সম্প্রীতি ও ঐক্যের বার্তা দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। সেই মঞ্চে এদিন হাজির ছিলেন অনন্ত মহারাজ। যাকে ঘিরে রীতিমতন শোরগোল পরে গিয়েছে। 

এদিন রাসমেলার মঞ্চ থেকে উদয়ন গুহ বলেন, ''এটি শুধু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলা নয়, এটি হল জাতীয় সংহতি। কোচবিহারের মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।'' পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব অনন্ত মহারাজের সামনেই একই মঞ্চে উদয়ন গুহর এই মন্তব্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। এদিন উদয়ন গুহ ও অনন্ত নহারাজ ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, গৌতম দেব, পার্থ প্রতীম রায়, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। মঞ্চ থেকে নেমে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে উদয়ন গুহ বলেন, ''বাংলা ঐক্যবদ্ধ আর কোচবিহারের এই রাসমেলা তার অন্যতম নিদর্শন। এই রাসমেলা শুধু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিই নয় এটি জাতীয় সংহতির নিদর্শন। যার জন্য কোচবিহারবাসী হিসেবে গর্ব অনুভব করেন।'' 

এদিকে শুধু উদয়ন গুহই নয়, বাংলা ভাগ রুখতে সরব এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা পার্থ প্রতিম রায়ও। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটল সোশ্যাল মিডিয়ায়। মঙ্গলবার কোচবিহার রাসমেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে এসে মঞ্চ থেকেই ফেসবুক পোষ্ট করে বাংলা ভাগ রুখতে সরব হন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, যারা বাংলা ভাগের কথা বলছেন তাঁদের বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করবেন। স্ট্যান্ড পয়েন্ট একটাই, বাংলা ভাগ হতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি নাম না করে তিনি বলেন, ''বাংলা ভাগের পক্ষে বিজেপির মাউথ পিসরা সরব হয়েছেন।'' 

অন্যদিকে, এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পৃথক রাজ্য নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাননি অনন্ত মহারাজ। তবে তার উপস্থিততে অখন্ড বাংলার মন্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে মেজাজ হারান অনন্ত মহারাজ। তবে যাই হোক, পৃথক রাজ্য নিয়ে বর্তমানে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, আসন্ন নির্বাচনগুলিতে তার কতটা প্রভাব পরে সেটাই এখন দেখার!