আবাস-অনিয়মে বাংলায় কেন্দ্রীয় দল, তোপ চন্দ্রিমার

মালদহের গঙ্গা, ফুলহার নদীর ভাঙ্গন সমস্যা সমাধান করুক। তারপরে অন্য কিছুতে মাথা ঘামাবে।

আবাস-অনিয়মে বাংলায় কেন্দ্রীয় দল, তোপ চন্দ্রিমার

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিতেই কেন্দ্রীয় টিমকে পাঠিয়ে আবাস যোজনা তদারকি করা হচ্ছে। অথচ এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের যেসব প্রতিনিধি দল এরাজ্যে এসেছে তাঁরা কিছুই খুঁজে পায়নি। আর পাবেও না। বরঞ্চ মানুষ কোথাও ভাঙ্গন সমস্যা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। আবার কোথাও বেহাল জাতীয় সড়কের অবস্থা নিয়েও বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তারপরও উদাসীন কেন্দ্র সরকার। বুধবার মালদহে পঞ্চায়েতি সভায় যোগ দিতে এসে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এভাবেই সমালোচনা করেন রাজ্যের  অর্থ ও স্বাস্থ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। 

বুধবার সকালে পুরাতন মালদহ ব্লকের নারায়ণপুর বিএসএফ মোড় এলাকায় জেলা তৃণমূলের সহযোগিতা এবং দলের মহিলা কমিটির উদ্যোগে এই পঞ্চায়েতি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী, জেলা মহিলা তৃণমূল কমিটির সভানেত্রী মৃনালীনি মন্ডল মাইতি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। মূলত এদিন পঞ্চায়েতি সভা নিয়েই এই কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। 

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ''আবাস যোজনা নিয়ে তো অনেক রকম কুৎসা বিরোধীরা রটিয়েছিল। মালদহে তো কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এলো। তারা কি কিছু খুঁজে পেয়েছে। কোনদিনও পাবে না। আসলে এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। অথচ সেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যেখানেই যাচ্ছে ভাঙ্গন কবলিত মানুষ তাদের সামনে পেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তখন ওরা নিশ্চুপ। তাদের কাছে কোনও উত্তর নেই।''

তিনি বলেন, ''আগে মালদহের গঙ্গা, ফুলহার নদীর ভাঙ্গন সমস্যা সমাধান করুক। তারপরে অন্য কিছুতে মাথা ঘামাবে। ২০২০ সালে দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন বিরোধীরা বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করে অনেক রকমই বিভ্রান্তিকর প্রচার করেছিল। আজকে দেশীয় অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি সবথেকে ভালো আছে। নারীদের হাত শক্ত করতে কন্যাশ্রী থেকে লক্ষী ভান্ডারের মতন একের পর এক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সমাজে নারীদের উন্নতির পথ চিনিয়েছেন তিনি।''  

 তিনি আরও বলেন, ''কন্যাশ্রী নিয়ে বিদেশে সুনাম অর্জন করেছেনই। তার পাশাপাশি মেয়েদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রেও উন্নতি করেছেন। সুতরাং আমাদের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একজন প্রশাসক যিনি কখনই সমাজকে বিভাজন করেন না। সবাই যাতে দুধে-ভাতে থাকতে পারে সেই চেষ্টাই ক্ষমতায় আসার পর থেকে করে চলেছেন। এক্ষেত্রে বিরোধীরা যতই অপপ্রচার করার চেষ্টা করুক, তাদের সেই চেষ্টা মানুষ জল ঢেলে দিয়েছে।''