মাত্র ৩ টাকায় রসগোল্লা-পান্তুয়া! কোথায় পাওয়া যাচ্ছে জানুন...

বাগনানের হরিনারায়ণপুরে বাজারে ৩ টাকায় বিকোচ্ছে রসগোল্লা। দামে কম, মানে ভালো তপন সামন্তের দোকানের এই মিষ্টি। ঝোলে-ঝালে অম্বলে কম দামে রসগোল্লার চাহিদা তুঙ্গে ।

মাত্র ৩ টাকায় রসগোল্লা-পান্তুয়া! কোথায় পাওয়া যাচ্ছে জানুন...

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: গরম গরম রসগোল্লা। নামের শেষে একটা গোল্লা থাকলেই হল। আমবাঙালির ঝালে-ঝোলে অম্বলে শেষপাতে এক টুকরো মিষ্টি চাই-ই চাই। তার উপর সেটা যদি হয় রসে ভরা নরম তুলতুলে রসগোল্লা, তাহলে তো কোনও কথায় নেই! কয়েকখানা টুপ করে মুখের ভিতর চালান করলেই, আহা, যেন স্বাদের স্বর্গ। আর তারপর যদি গোটা কয়েক পান্তুয়া মেলে। এ স্বাদের কী ভাগ হয়? মিষ্টিপ্রিয় বাঙালির সাধের এই রসগোল্লা পাওয়া যাচ্ছে একদম জলের দামে। শুনলে অবাক হবেন, মাত্র ৩ টাকাতেই মিলছে বাঙালির জনপ্রিয় এই মিষ্টিটি। আর এই রসগোল্লা নিয়ে হৈ হৈ রব হাওড়ার বাগনানে। 

বর্তমান চড়া মূল্যের বাজারে বাঙালির মিষ্টিমুখে রসগোল্লার যোগান মাত্র ৩ টাকা প্রতি পিসে চাহিদা মিটছে মানুষের। ৩ টাকার রসগোল্লা কিনতে হিড়িক লেগে যায়, হাওড়া বাগনান হরিনারায়নপুর বাজারে তপন সামন্তের ময়রার দোকানে। সন্ধ্যা হলেই গরম গরম রসগোল্লা, পান্তুয়া বা ছোট ল্যাংচা মাত্র তিন টাকা পিস। গত ১৫-২০ বছর ধরে তিন টাকার রসগোল্লা ,পান্তুয়া ও ল্যাংচা তৈরি করে চলেছেন তপন ময়রা। এতে তার লাভও হচ্ছে। আসল ব্যাপার হল তার দোকানে তিনি একাই একশো। জল আনা থেকে মিষ্টি তৈরি, সঙ্গে খরিদ্দার সামাল দেওয়া সমস্ত কাজই তার নিজের হাতেই।

শুধু বাগনান নয়, বাগনানের বিভিন্ন স্কুলেড় শিক্ষক শিক্ষিকারাও এই রসগোল্লা কিনে নিয়ে যান বাড়িতে। তবে এখনও রসগোল্লার মান তিনি ধরে রেখেছেন বলেই চাহিদা বেড়েই চলেছে তিন টাকা পিসের এই রসগোল্লার। বাংলার ঘরে মিষ্টি মুখ মানেই রসগোল্লা, বাংলা জুড়ে রসগোল্লা ছড়িয়ে রয়েছে সর্বত্র। গ্রামে গঞ্জ থেকে শহর ময়রা দোকান মানেই রসগোল্লার সম্ভার। বাঙালির রসগোল্লা আজ শুধু সাদা রসগোল্লাতেই থেমে নেই, শীতের নলেন গুড়ের রসগোল্লা গরমে আমের রসগোল্লা তারপর আরও কত কি। আর এভাবেই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন স্বাদের রসগোল্লা মজেছে বাঙালি। 

বিয়েবাড়ি -অন্নপ্রাশন বা যে কোনও অনুষ্ঠানে বাঙালির শেষ পাত মানেই মিষ্টি। আর এই মিষ্টি মানেই রসগোল্লা না হলে কি আর চলে। গতির নিয়মে সময় বয়ে গিয়েছে তবে বাঙালির শেষ পাতে মিষ্টির ঠাঁই সেই একই রয়েছে। এযেন মিষ্টির সেকাল থেকে একাল বাঙালির পাতে রয়ে গিয়েছে একই ধারা! গ্রাম থেকে শহর বাঙালির শেষ পাতে আজও রসগোল্লার স্থান অনবদ্য। 
বাঙালির এই সাধের রসগোল্লা পাড়ি দিয়েছে বিশ্বময়। রসগোল্লার ঐতিহ্য নিয়ে টানা পোড়েন সেই কোন কাল থেকে। রসগোল্লা কার? ওড়িশার নাকি কলকাতার। তাতে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলা। বাংলার ঘরে-ঘরে মিষ্টি মুখ মানেই রসগোল্লা। আর বাংলা ও বাঙালির হৃদয় জুড়ে রসগোল্লা আজও অম্লান!