ভোট আসে ভোট যায়, প্রতিশ্রুতির ঠেলায় বিছিন্ন দ্বীপেই থেকে যান ওঁরা...

সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। হুগলির কানাইপুর পঞ্চায়েতের একটি গ্রাম। যদিও তাকে গ্রাম না বলে বিচ্ছিন্ন দীপ বলা ভালো।

ভোট আসে ভোট যায়,  প্রতিশ্রুতির ঠেলায় বিছিন্ন দ্বীপেই থেকে যান ওঁরা...

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ভোট আসে ভোট যায় শুধুই মেলে প্রতিশ্রুতি। হুগলির কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সৌরদীপ পল্লী চক্রবর্তী নগর গ্রামে প্রায় দেড়শটি পরিবারের বসবাস। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বছরের পর বছর ঘুরে গেলেও মেলেনি তাঁদের জন্য পাকা রাস্তা। গ্রামে ঢোকা ও বেরোনোর জন্য কোনও রাস্তায় নেই বলে জানিয়েছেন তারা। হাইড্রেনের গার্ডোয়াল নইলে ভেড়ির ধারের সরু 'আল' সেটি তাদের যাতায়াতের মূল পথ।

 সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। হুগলির কানাইপুর পঞ্চায়েতের একটি গ্রাম। যদিও তাকে গ্রাম না বলে বিচ্ছিন্ন দীপ বলা ভালো। কেন বলা হচ্ছে বিচ্ছিন্ন দীপ! কারণ বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ সাধনের পথটাই নেই তাদের। এখানে পথ বলতে রাস্তার কথাই বোঝানো হয়েছে। গ্রামের ঢোকা বা বেরোনোর জন্য কোনও রাস্তা নেই। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে প্রশাসনের কাছে বারবার দারস্ত হয়েও সুরাহ মেলেনি গ্রামবাসীদের। 

আক্ষেপের সুরে এক গ্রামবাসী জানান, তাঁদের জন্য কোনও প্রশাসন নেই। ভোট দিয়ে তারা পঞ্চায়েতের সদস্য যাকে নির্বাচন করেছেন কোনওদিনও তার টিকি টুকু মেলে না গ্রামবাসীদের জন্য। গ্রামবাসীরা শুধুই বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। 

জানা গিয়েছে, গ্রামের মানুষদের দাবি ছিল একটি রাস্তার। যা দিয়ে তারা যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু তাও হয়নি। গ্রামে নেই পানীয় জলের ব্যবস্থাও। সরকারের তরফ থেকে একটি টিউবওয়েল বসিয়ে দেওয়া হলেও তা দিয়ে পরিশোধিত জল বেরোয় না। 

স্থানীয় আরেক গ্রামবাসী জানান, কেউ অসুস্থ হলে তাকে কাঁধে করে গ্রাম থেকে নিয়ে যেতে হয়। কারণ, গ্রামের মধ্যে কোনও অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না। ঢুকবেই বা কি করে? ঢোকার রাস্তাই তো নেই! ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজের পড়াশোনা করতে গেলেও যেতে হয় পাশের গ্রামে। গ্রামবাসীদের কথায় "গরিবের কথা কে শোনে! যদি শুনত তাহলে এতদিনে হয়তো গ্রামে একটা রাস্তা হত।"