পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই গেরুয়া শিবিরে ভাঙন! তৃণমূলে যোগ শতাধিক নেতা-কর্মীর

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজেপি ও সিপিএম দল ছেড়ে দলে দলে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করছেন।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই গেরুয়া শিবিরে ভাঙন! তৃণমূলে যোগ শতাধিক নেতা-কর্মীর

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে। ফের বিজেপি, সিপিএমকে ধাক্কা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার পদ্ম ও কাস্তে হাতুড়ি তারা ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করলেন বিজেপি ও সিপিএম দলের প্রায় ৬০ জন কর্মী সমর্থক।

জানা গিয়েছে, রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের ধানঘোরী অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে একটি প্রতিবাদসভা ও যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, ১০০ দিনের মজুরির দাবিতে ও বাংলায় বিজেপির মিথ্যাচার ও কুৎসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল  ও প্রতিবাদ সভা করা হয়।  এদিন বিজেপি ও সিপিএম দলের প্রায় শতাধিক কর্মী ওই প্রতিবাদ সভায় গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।  

বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারী সকলের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত গোপীবল্লভপুর বিধানসভার বিধায়ক ডাঃখগেন্দ্রনাথ মাহাত এবং সাঁকরাইল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কমলকান্ত রাউৎ সহ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্বরা। সাঁকরাইল ব্লক তৃনমূলের সভাপতি কমলকান্ত রাউৎ বলেন, আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসকে আরো শক্তিশালী করে তোলার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে হবে। 

তিনি বলেন, ''সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজেপি ও সিপিএম দল ছেড়ে দলে দলে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করছেন। সাঁকরাইল ব্লকে সিপিএম এবং বিজেপির কোন অস্তিত্বই আগামী দিনে থাকবে না। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বেশিদিন রাখা যায় না। তাই যারা ভুল বুঝে বিজেপি দলে যোগদান করেছিলেন তারা দলে দলে জননেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাঁকরাইল ব্লকে প্রার্থী খুঁজে পাবে না বিজেপি ও সিপিএম।''

 একই সঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ''পেট্রোল-ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে সেদিকে কেন্দ্র সরকারের নজর নেই। অন্যদিকে বিজেপি নেতা ভূপেন কালন্দি বলেন, ''যারা যোগদান করেছে, সাধারণ ভোটার অফুরন্ত এর জন্য বিজেপিতে কোনও‌ প্রভাব পড়বে না। বিজেপি দল যথেষ্ট ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।''