ধর্মীয় স্বাধীনতায় অবাধ ধর্মান্তকরণের অধিকার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত গুজরাট সরকারের

আইনি বাধা কাটাতে শীর্ষ আদালতে জোরাল সওয়াল গুজরাট সরকারের। সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়ে দিল, ধর্মপালনের স্বাধীনতা কাউকে অবাধে ধর্মান্তকরণের স্বাধীনতা দেয় না।

ধর্মীয় স্বাধীনতায় অবাধ ধর্মান্তকরণের অধিকার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত গুজরাট সরকারের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: রাজ্যে ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন কার্যকর করতে এবার আরও সক্রিয় গুজরাটের বিজেপি সরকার। বিয়ের মাধ্যমে ধর্ম বদল রুখতে গুজরাট সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছিল, সেই উদ্যোগে আইনি বাধা কাটাতে শীর্ষ আদালতে জোরাল সওয়াল গুজরাট সরকারের। সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়ে দিল, ধর্মপালনের স্বাধীনতা কাউকে অবাধে ধর্মান্তকরণের স্বাধীনতা দেয় না।

গুজরাট বিজেপি সরকারও আর পাঁচটা বিজেপি শাসিত রাজ্যের মতো লাভ জেহাদ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদের বক্তব্য, হিন্দু মেয়েদের ভুল বুঝিয়ে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ধর্ম বদলের ফাঁদ পাতছে মুসলিম যুবকরা। যার ফলে অনেক সময় দেখা অনিচ্ছা সত্ত্বেও ধর্ম বদল করতে হচ্ছে মহিলাদের। সেই সব ধর্মান্তকরণ রুখতে গুজরাটে নতুন নিয়ম আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, এবার ধর্ম বদল করে ভিন ধর্মে বিয়ে করতে হলেও সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের অনুমতি নিতে হবে। তিনি দুই পক্ষের মত আছে কিনা জেনে সেই বিয়ের অনুমতি দেবেন। গুজরাট সরকারের সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে দিয়েছে গুজরাট হাইকোর্ট। গুজরাট হাইকোর্টের সেই স্থগিতাদেশেরও বিরোধিতা করেছে সরকার। হাইকোর্টের সেই স্থগিতাদের প্রত্যাহার করার জন্য আইনি পদক্ষেপ করছে তারা।

 গুজরাট সরকারের সাফ বক্তব্য, তারা নতুন যে আইন এনেছে সেটাকে বৈধতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টই। গুজরাট সরকারের দাবি, এর আগে মধ্যপ্রদেশ ধর্ম স্বতন্ত্র অধিনিয়ম এবং ওড়িশা রিলিজিয়াস অ্যাক্টকে বৈধতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুতরাং, তারা যে নতুন আইন এনেছে সেটাও বৈধ হওয়া উচিত। শনিবার এক মামলার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা একটি হলফনামায় গুজরাট সরকার জানিয়েছে, ভারতের সংবিধান ধর্মপালনের স্বাধীনতা দিলেও ধর্মান্তকরণের স্বাধীনতা দেয় না। কোনওরকম প্রতারণা করে, প্রলোভন দেখিয়ে অথবা জোর করে ধর্মান্তকরণ করানোর অধিকার কোনওভাবেই সংবিধান স্বীকৃত নয়। এদিকে গত কয়েক বছরে ধর্মান্তর বিরোধী আইন চালু করা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। 

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে চালু হওয়া ধর্মান্তর বিরোধী আইনে দেশে প্রথম সাজা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এক হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠেছিল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ধর্মান্তর বিরোধী আইন পাশ করা হয় উত্তরপ্রদেশে। মূলত লাভ জিহাদ রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এই আইনে দোষীদের জন্য সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে আইনে। তবে যদি কেউ বিয়ে করে ধর্মান্তর করাতে চেষ্টা করে, শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।