পুজোর এখনও একমাস দেরী, মিনি দুর্গা তৈরিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে দেবাশীষের

পেশায় তিনি পুরোহিত, সঙ্গে ছোটো মুদি দোকান রয়েছে। ছোটোবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল মা দুর্গার প্রতিমা বানানোর।  মাটির সঙ্গে আলাদা টান রয়েছে।

পুজোর এখনও একমাস দেরী, মিনি দুর্গা তৈরিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে দেবাশীষের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ভিন রাজ্যেও পাড়ি দিয়েছিল মিনি দুর্গা। বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। তার এখনও মাস খানেক দেরী থাকলেও এখন থেকেই দুর্গা প্রতিমা বানাতে ব্যস্ত দেবাশীষ। 

পেশায় তিনি পুরোহিত, সঙ্গে ছোটো মুদি দোকান রয়েছে। ছোটোবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল মা দুর্গার প্রতিমা বানানোর।  মাটির সঙ্গে আলাদা টান রয়েছে। সেই টান থেকেই ছোটো আকারে বিভিন্ন ধরনে প্রতিমা তৈরি করছেন। যেমন বড়ো ধরনে  দুর্গা প্রতিমা দেখতে হয় সেই রকম প্রতিমা তৈরি করছে। শহর থেকে কিছুটা দূরে একটি গ্রাম রাখালদেবী। সেই গ্ৰামের বাসিন্দা দেবাশিষ  তৈরি করছে ছোট্ট প্রতিমা।  তাঁর বানানো এই প্রতিমা পাড়ি দিচ্ছে অসম, এিপুরা। পূব মেদিনীপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলাগুলিতে। 

এই বিষয়ে তিনি বলেন, ''কৃষ্ণনগরের যে সব প্রতিমা তৈরি হয় সেইসব প্রতিমা মাটির সাজে তৈরি হয়। পুড়িয়ে তৈরি করা হয়। আমি সেই রকম ভাবে তৈরি করি না। আমি বড় দুর্গা তৈরি করি বাঁশ এবং খড় দিয়ে। এমনকি প্রতিমার পোশাকও আমি তৈরি করি নিজে হাতে। এ বছর আমার এখন পর্যন্ত ছ'টা অর্ডার হয়েছে। আশা করছি আরও হবে। কারণ, দু'বছর করোনার জন্য প্রতিমা তৈরি করতে থমকে গিয়েছিলাম। পুনরায় এ বছর অল্প অল্প করে অর্ডার আসার ফলে একটু খুশি কারণ, এই প্রতিমা তৈরি করেই সংসারের অর্থ উপার্জন হয়।'' 

 তিনি আরও বলেন, ''আমি এ বছর বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করছি মা দুর্গাকে নিয়ে।'' এছাড়াও তিনি বর্তমান সরকারের কাছে আর্জি জানণ, যদি বয়স্ক মৃৎশিল্পীদের হাতে কিছু ভাতা তুলে দিত সরকার তাহলে খুবই ভালো হত। কারণ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এ বিষয়টা যদি সরকারকে তাহলে ভালো হত।