বাংলার আবাসে বিহারের বাসিন্দা! জেলাশাসকের নির্দেশে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা

শ্যাম যে বিহারের বাসিন্দা তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন তার মা।

বাংলার আবাসে বিহারের বাসিন্দা! জেলাশাসকের নির্দেশে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: কিছুতেই থামছে না বিতর্ক। আবাস যোজনা নিয়ে ফের প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য! বাংলার আবাস যোজনার তালিকায় নাম উঠল খোদ বিহারের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে মালদহ জেলার রতুয়া এক নম্বর ব্লকের মহানন্দাটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর গ্রামে।

 জানা গিয়েছে, বাংলার আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভি্যোগ তুলে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিল বিজেপি। এদিন সেই ঘটনার তদন্তে গিয়ে হতবাক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বিহারের কাটিহার জেলার দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহারসাল গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্যাম যাদব বিহারের দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য। বাংলার আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে তার নাম। আবাস যোজনার তদন্তে গিয়ে এই ঘটনা থেকে হতবাক হয়ে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।

 জানা গিয়েছে,  সেদিন বাড়িতে শ্যাম যাদবের দেখা মেলেনি। শ্যাম যে বিহারের বাসিন্দা তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন তার মা। ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে মালদহ জেলা প্রশাসন। মালদা জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, রতুয়া এক নম্বর ব্লকের বিডিওকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 প্রসঙ্গত আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় মালদহে পৌঁছয় দুই সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। প্রথম দিনে তারা রতুয়া এক নম্বর ব্লকের মহানন্দতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর গ্রামে তদন্ত করেন। সেখানেই বিষয়টি নজরে আসে তাদের। যদিও বাংলার আবাস তালিকায় বিহারের বাসিন্দার নাম উঠতেই নড়েচরে বসে প্রশাসন। তড়িঘড়ি মালদহের জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়ার নির্দেশে নাম কেটে বাদ দেওয়া হয় বিহারের ওই ব্যক্তির।