সিত্রাং'এর অশনি সঙ্কেত উপেক্ষা করে মাঝ সমুদ্রে, বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের ত্রাতা ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী

ঠিক সময়ে ত্রাণকর্তার মতো তাঁদের জীবন রক্ষা করলেন ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা (Indian Coast Guard)।

সিত্রাং'এর অশনি সঙ্কেত উপেক্ষা করে মাঝ সমুদ্রে, বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের  ত্রাতা ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর দাপটে বিপর্যস্ত ওপার বাংলা। ঝড়ের তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এদিকে ঝড়ের সময় সমুদ্রে মাছ ধরতে বেরিয়ে সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে প্রাণ হারাতে বসেছিলেন ২০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী। কিন্তু 'রাখে হরি মারে-কে?' 

জানা গিয়েছে, ঠিক সময়ে ত্রাণকর্তার মতো তাঁদের জীবন রক্ষা করলেন ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা (Indian Coast Guard)। একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। তার ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ২৫ অক্টোবর সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ের পরে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা আন্তর্জাতিক জলসীমান্তের কাছে তল্লাশি ( surveillance) ও উদ্ধার কার্যের (rescue operation) জন্য অভিযান চালাচ্ছিলেন। ঠিক সেইসময়ে তাঁদের চোখে পড়ে যে ২০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী সমুদ্রের জলে ভাসছেন। সঙ্গে সঙ্গে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাঁদের উদ্ধার করে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজে আশ্রয় দেওয়া হয়। 

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সিত্রাংয়ের দাপটে পুরো লন্ডভন্ড বাংলাদেশ। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে কমপক্ষে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একটানা বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়ায় উপড়ে গিয়েছে বাড়িঘর। একাধিক জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। বাংলাদেশের মধ্য ভাগেও ভালভাবেই টের পাওয়া গিয়েছে সিত্রাংয়ের দাপট। তবে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ল্যান্ডফলের সময় হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর, উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অভিমুখে বরাবর এগিয়ে যায় ঘূর্ণিঝড়। ক্রমে শক্তিক্ষয় হয়ে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।  নিম্নচাপের বর্তমান অবস্থান বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে, শিলংয়ের কাছে। পশ্চিমবঙ্গে সিত্রাংয়ের বিশেষ প্রভাব না পড়লেও, বাংলাদেশের উপরে থাকা নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্য- অসম, মেঘালয়, মিজোরাম, অরুণাচল, ত্রিপুরায় আজও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।