TMC জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে কুৎসা-অপপ্রচারের অভিযোগ, কাঠগড়ায় BJP

কোচবিহার উত্তরের বিধায়ক তথা কোচবিহার জেলা বিজেপির সভাপতি সুকুমার রায়ের বিরুদ্ধে তুফানগঞ্জ থানায় এফআইআর দায়ের করেছে তৃণমূল।

TMC জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে কুৎসা-অপপ্রচারের অভিযোগ, কাঠগড়ায় BJP

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। ভোটের প্রচারে ময়দানে নেমে এক অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনুযোগে ক্রমশ সরগরম হচ্ছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এরই মধ্যে এবার তৃণমূলের জেলা সভাপতির নামে অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হল থানায়।

জানা গিয়েছে, কোচবিহার উত্তরের বিধায়ক তথা কোচবিহার জেলা বিজেপির সভাপতি সুকুমার রায়ের বিরুদ্ধে তুফানগঞ্জ থানায় এফআইআর দায়ের করেছে তৃণমূল। শনিবার  বিজেপির জেলা সভাপতির নামে তুফানগঞ্জ থানার অভিযোগ দায়ের করে তাঁকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন তৃণমূলের তুফানগঞ্জ শহর সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ধর। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তুফানগঞ্জ শহর তৃণমূলের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ধর জানান, তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিত দে ভৌমিক একজন আইনজীবী। তাঁর নামে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্লীলতাহানি, ছাত্র খুনের মত অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে কোনও থানাতে আদেও কোনও অভিযোগই নেই। তাই বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার ও দলকে কালিমালিপ্ত করার অভিযোগ তুলে তুফানগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বিধায়কের বিরুদ্ধে। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করা না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে বলে জানিয়েছে  তৃণমূল শহর কমিটি।

প্রসঙ্গত, এর আগেও নানা ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়েছে কোচবিহারের রাজনৈতিক পরিবেশ। গত শুক্রবার রাতে দিনহাটার খট্টিমারি হাইস্কুলের মাঠে এক জনসভায় মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, 'এখানে তৃণমূল ছাড়া বিজেপি, সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক সহ অন্য কোনও দলের অস্তিত্বই নেই। অন্য কোনও দল এখানে দাঁড়ালে তাদের জামানত জব্দ করা হবে। যখন আমাদের দলের কোন গদ্দার তাদের পেছন থেকে মদত দেবে, তখনই সমস্যা বাড়বে। যারা পাঁচ বছর ধরে নানাভাবে দলকে ব্যবহার করেছে, তারা টিকিট না পেয়ে যদি দলের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তাহলে দল তাদের ছেড়ে কথা বলবে না'।

এছাড়াও তিনি বলেন, ''দলের মধ্যে কেউ কেউ দিনের বেলায় তৃণমূল করছেন, আর রাতে বিজেপিকে আশ্রয় দিচ্ছেন। পঞ্চায়েত ভোট হল সেমিফাইনাল, আর লোকসভা ভোট হল ফাইনাল। পঞ্চায়েত ভোটে যারা প্রধান পঞ্চায়েত হবেন তারা দল চালাবে না। আগামী দিনে দলই তাদের চালাবেন। আর পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী ঠিক করবেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। অধিকাংশ মানুষ যাকে চাইবেন তাকে দলের প্রার্থী করা হবে।''